বৃটিশ আমলে জেলেদের এক সমিক্ষা করা হয়। যেসমিক্ষায় অত্র ইউনিয়নে জেলের বসবাস ছিল অন্যান্য স্থানের চেয়ে উল্লেখযোগ্যযাহার মধ্যে বর্তমান শৌলজালিয়া গ্রামে ১৬ জন জেলের বসবাস যার জন্য অত্রগ্রামের নাম ১৬+ জেলে- এই১৬ জেলে হইতে শৌলজালিয়া।১৮৭০ (খ্রীঃ) লর্ড মেয়র চৌকিদারী প্রথার মাধ্যমে ইউনিয়র পরিষদের যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তিতে ৮০ বছর পরে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পঞ্চায়েত প্রথা চালু করেন এর পরে ১৮৮৫ সালে লর্ড রিপন পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেন ইউনিয়ন কমিটি নামে যার প্রধানও থাকেন পঞ্চায়েত।এর সদস্য সংখ্যা ৯ এ উন্নিত করা হয় যাহা জেলা বোর্ডের মনোনীত ছিল ৩জন।লর্ড মেয়র ও লর্ড রিপনের চৌকিদারী প্রাথা এবং ইউনিয়ন কমিটি এই দ্বৈততার কারণে ১৯১৯ সালে উহা বিলুপ্ত করে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ত্ব সায়িত আইন বলে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয় এবং এক জন প্রেসিডেন্ট ও ২ জন ভাইসপ্রেসিডেন্ট ও ৯ জন সদস্য নিয়ে, যাহা ৩ জন জেলা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত। পরবর্তিতে ১৯৬৯ সালে রাষ্ট্রপ্রতির ৭নং আদেশ বলে মৌলিক গণতন্ত্র নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৪ স্থর বিশিষ্ট সরকার প্রথা চালু করেন যাহার ১ম স্তর কেন্দ্রীয় সরকার, ২য় স্তর জেলা পরিষদ, ৩য় স্তর থানা পরিষদ, ৪র্থ স্তর ইউনিয়ন পরিষদ।যার অবসান ১৯৭৩ সালে ২২শে মার্চ রাষ্টপতির ২২নং আদেশ বলে পঞ্চায়েত নামপরিবর্তন করিয়া পূনরায় ইউনিয়ন পরিষদ রাখা হয়। এখানে উল্লেখ্য ইউনিয়নবিভিন্ন সময়অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিভিন্ন নামে পরিগনিত হলেও ইউনিয়ন পরিষদনামে পরিগনিত হওয়ার পূর্বে এবং ইউনিয়ন পরিষদের শুরুতে অত্র প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধি হন অত্রশৌলজালিয়া গ্রামের যেমন প্রথম চেয়ারম্যানহিসাবে নির্বাচিত হন মরহুম নিজাম উদ্দিন হাওলাদার পর পর ৪বার তাছারাওপঞ্চায়েত, প্রেসিডেন্ট ছিলেন অত্র গ্রামের যার কারনে অত্র ইউনিয়নের নাম হয় "শৌলজালিয়া"এটি ঐতিহ্যবাহী বিষখালী নদির পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এই ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তালগাছিয়া এবং কচুয়া খাল যাহা ভান্ডারিয়া তীরবর্তি পোনা নদির সংযোগ খাল।
এই ইউনিয়নে আছে ঐতিয্যবাহী আধ্যাত্তিক সাধকদ্বয় যেমত বিশ্ব বরণ্য ওলী হযরত আশ্রাব আলী খানবী (রহ) এর অন্যতম খলিফা হযরত মাওলানা মাকছুদুল্লাহ আশ্রাফী (রহ) পীর সাহেব তালগাছিয়া নামে পরিচিত। যাহার মাজার শরীফ তালগাছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে। এখানে আছে এতিমখানা, মক্তব ও মাদ্রাসা। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে তিনদিন ব্যপী ইসলামী জলসা ও ইসলামী ওয়াজ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দেশ বরণ্য আলেম-ওলাময়রা এসে ওয়াজ নছিয়ত করেণ।
দিতীয়তো আছে মারেফতের সাধক হযরত মাওলানা নফিছুর রহমান হক্কোননূরী তার মাজার শরীফ শৌলজালিয়ায় অবস্থিত যাহা হক্কোননূর দরবার হিসাবে পরিচিত। প্রতি বছর ফাল্গুনের ১ম সপ্তাহে ৩ দিন ব্যপী ওরজ অনুষ্ঠিত হয়। এছারা আছে হিন্দু ধর্মিয় ভিবিন্ন উপাশনালয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস